Posts

Showing posts from October, 2020

রাসূল(সঃ)কে অপমানীর শাস্তী কি?

Image
ইসলামে নবী অবমাননার শাস্তিঃ একটি প্রমাণিক পর্যালোচনা- লুৎফুর রহমান ফরায়েজী ভূমিকা একজন মুসলমানের কাছে রাসূল সাঃ নিজের প্রাণের চেয়ে, নিজের সন্তানের চেয়ে, নিজের মা-বাবার চেয়ে এবং তার যাবতীয় সম্পদ থেকে প্রিয়। যদি কোন ব্যক্তির এমন মোহাব্বত না থাকে, তাহলে লোকটি প্রকৃত মুসলমানই নয়। রাসূল সাঃ হাদীসে ইরশাদ করেন-عن أنس قال قال النبي صلى الله عليه و سلم : ( لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من والده وولده والناس أجمعينঅনুবাদ- হযরত আনাস রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার পিতা-মাতা, এবং তার সন্তান ও সমস্ত মানুষ থেকে আমাকে বেশি মোহাব্বত করবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭৭}নাস্তিক্যতা এক জিনিস, আর ধর্মকে কটাক্ষ্য করা, রাসূলকে গালাগাল দেয়া, অশ্লিলভাবে উপস্থাপন করা ভিন্ন জিনিস। রাসূল সাঃ কে যারা গালি দেয়, অপমানিত করে, অসম্মানজনক কথা বলে বা লিখে, সে মুরতাদ। সে তওবা না করলে হত্যা করা ইসলামের বিধান। এরকম কুলাঙ্গারের এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সৃষ্টির মাঝে যিনি শ্রেষ্

কোরআন নিয়ে ড.মিজানুর রহমান

 

ভালোবাসার মানুষকে কেয়মতের দিন পাবে?

Image
 💠 💠মানুষ দুনিয়াতে যাকে ভালোবাসতো কিয়ামতের দিন সে তার সাথেই থাকবে ▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬ প্রশ্ন: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, “মানুষ তার সাথেই থাকবে যাকে সে ভালোবাসে।” কুরআন-হাদিসের আলোকে এ হাদিসটির ব্যাখ্যা জানতে চাই। উত্তর:  প্রথমে আমরা এ সংক্রান্ত হাদিসগুলো এবং এ প্রসঙ্গে সাহাবীদের অনুভূতি সম্পর্কে জানব। তারপর এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মনীষীদের বক্তব্য দেখব ইনশাআল্লাহ। তাহলে আশা করি, হাদীসটির মর্মার্থটি আমাদের নিকট স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আল্লাহ সাহায্যকারী। 💠 হাদিসটির: আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয়ে মসজিদে নববী হতে বের হচ্ছিলাম। এমন সময় মসজিদের দরজায় এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ হল।  সে বলল: “হে আল্লাহর রসূল, কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে?” রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: "‏ مَا أَعْدَدْتَ لَهَا“তুমি কিয়ামাতের জন্যে কী প্রস্তুত করেছো?  আনাস রা. বলেন, তখন লোকটি যেন (এত বড় প্রশ্ন শুনে) ভয়ে পেয়ে নরম হয়ে গেল। তারপর বলল: “হে আল্লাহর রসূল! আমি তো কিয়ামতের জন্য বেশি পরিমাণ সলাত, সিয়াম ও দান-সদকা সংগ্রহ করি নি তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাস

সূরা মুলুক নিয়ে আলোচনা

Image
  🌿সূরা মূলক-এর ফজিলত🌿 হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; " কোরআন শরীফে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে, যা তার তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করে না দেয়া পর্যন্ত তার জন্য সুপারিশ করতেই থাকবে। সূরাটি হলো تبارك الذي بيده الملك. -- ‪#‎তাবারাকাল্লাযী‬ বি ইয়াদিহিল মূলক অর্থাৎ ‪#‎সূরা‬ মূলক… (আবু দাউদ-১৪০২, তিরমিজি-২৮৯১, ইবনে মাজাহ-৩৭৮৬, মুসনাদে আহমদ-২/২৯৯) অন্য এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন," আমার মন চায় প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে যেনো সূরা মূলক মুখস্ত থাকে। "[বায়হাকীর শুআবুল ইমান-২৫০৭] আরেকটি এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে এ সূরা তেলাওয়াতকারীর আমলনামায় অন্য সূরার ‪#‎তুলনায়_৭০‬ টি নেকী বেশি লিখা হবে এবং ‪#‎৭০টি‬ গোনাহ মুছে ফেলা হবে। (তিরমিজি-২৮৯২)  আর যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা মূলকের আমল করবে সে ‪#‎কবরের‬ আজাব থেকে মুক্তি পাবে। (তিরমিজি-২৮৯০, মুসতাদরাকে হাকেম) হাদীসে আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো রাতে সুরা মূলক না পড়ে ঘুমাতেন না। (তিরমিজি-২৮৯২, হিসনে হাসিন)